আপনার হয়তো খেয়াল নেই; এর আগে গত ১৫ই এপৃল সোমবার আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়া হয়েছিল। এবং আমি নিচের প্রশ্নগুলো করেছিলাম। যাই হোক প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
তারপরও কিছু প্রশ্ন থেকে যায়:
১. যে সব কারণ দেখিয়ে সে আমার ভাইকে তালাক দিয়েছে তাতে বাহ্যিক ভাবে সন্তানের পিতৃ পরিচয় প্রশ্ন বিদ্ধ! এ ব্যাপারটা পরিষ্কার হবার জন্য আদালতের আশ্রয় নেয়া যাবে কি? হ্যাঁ হলে, কোন্ ধরনের আদালতে যেতে হবে?
২. মোহরের জন্য মামলা করেতে পারবেন কি? হ্যাঁ হলে, কোন ধরনের আদালতে?
২. বাচ্চার ভরণ-পোষণের জন্য কোন্ ধরনের আদালতে মামলা করতে পারবেন?
৩. ভরণ-পোষণ কখন থেকে কার্যকর হবে এবং এটি কীভাবে নির্ধারিত হবে? কত টাকা?
উপর্যুক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলে কৃতজ্ঞ থাকতাম। ধন্যবাদ।
——————————
On Sat, Apr 20, 2013 8:24 AM PDT WordPress wrote:
>LAWTHINKERS
>জানতে চাই…
>শ্রদ্ধাভাজন,
>আসসালামু আলাইকুম। নিচের ঘটনাটি আমার চাচাত ভাইয়ের। আমরা পাশাপাশি থাকি ও প্রায় সমবয়সী।
>১. সে বিয়ে করে ২০০৬ সালে। সে বিশেষ এক ধরনের শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত।
>২. ২০০৭ সালে তাদের একটি ছেলে সন্তান হয়।
>৩. ২০০৮ সালে আমার ভাতিজার ডাউন সিন্ড্রোম (মানসিক সমস্যা) ধরা পড়ে। এর আগে ওর জন্মের ১৪ দিন পর জন্ডিস ও ৮ মাস পর নিউমোনিয়া হয়।
>৪. ২০০৯ সালে প্রথমদিকে আমার ভাবি রাগ করে তার বাবার বাড়ি চলে যায়।
>৫. ভাইয়ের চলাচলে সমস্যা থাকায় চাচা-চাচি ভাবিকে ২/৩ বার ফিরিয়ে নিতে গেলে সে আসতে অপারগতা প্রকাশ করে।
>৬. সে আমার ভাইকে ২০১০ সালে আদালতের মাধ্যমে তালাক দেয়। তার কাছে আমার ভাইয়ের দেয়া প্রায় ১০ ভরি গহনা রয়েছে। তবে মোহর ৬০ হাজার টাকা বাকি রয়েছে।
>৭. আমার ভাইয়ের পরিবার যথেষ্ট সচ্ছল হওয়ায় আমার ভাতিজাকে স্থায়ীভাবে আনতে চান ও বাচ্চার চিকিৎসা করাতে চান। ২০১১ সালে বাচ্চাকে তার মামা আমার চাচার বাড়িতে নিয়ে আনেন। কিন্তু দুই রাত থাকার পর বাচ্চার মা-নানা-নানি এক রকম জোর জবরদস্তি করে বাচ্চাটিকে ঐ একই লোক মারফত তাদের কাছে নিয়ে যান।
>৮. ২০১৩ সালে আবার ভাইয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে বাচ্চাটিকে লোক মারফত আনতে গেলে বাচ্চার মা’র পরিবার খারাপ ব্যবহার করে ও সাফ জানিয়ে দেন যে বাচ্চাকে তারা তার বাবার পরিবারে কখনো দেবেন না।
>৯. এতে আমার ভাই ও তার পরিবার অনেকটা ক্ষুব্ধ হয়ে বাচ্চাটিকে আর না নেবার সিদ্ধান্ত নেন।
>১০. আগামী ২০১৪ সালে বাচ্চাটির বয়স ৭ বছর পূর্ণ হবে।
>১১. যে সব কারণ দেখিয়ে সে আমার ভাইকে তালাক দিয়েছে তাতে বাহ্যিক ভাবে সন্তানের পিতৃ পরিচয় প্রশ্ন বিদ্ধ! আমার ভাইও পিতার দায়িত্ব নিতে অতটা আগ্রহী নয়।
>১২. এখনো পর্যন্ত আমার ভাই ও প্রাক্তন ভাবি অবিবাহিত এবং বাচ্চাটির সুন্নতে খাৎনা হয়নি!
>
>এখন প্রশ্ন হলো:
>১. ৭ বছর বয়স পূর্ণ হবার পর তারা বাচ্চাটিকে জোর করে তার বাবার বাড়িতে পাঠাতে পারবেন কি?
>২. যদি জোর করে পাঠিয়েই দেন তাহলে আমার ভাই বা তার পরিবার পিতার দায়িত্ব এড়াতে কোনো ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন কি?
>২. বাচ্চাটিকে না পাঠিয়ে বাচ্চার মা বা তার পরিবার আদালতে কোনা মামলা করতে পারবেন কি? বাচ্চাটি যদি তার বাবার বাড়ি আসতে না চায় তাহলে আদালত কী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন? আমার সন্দেহ/আশঙ্কা হয় বাচ্চাটিকে জিম্মি/ব্যবহার করে তারা পরবর্তী জীবনের জন্য ভরণ-পোষণ দাবি করতে পারেন! এ ধরনের দাবি কি যুক্তিসংগত? উল্লেখ্য এখন পর্যন্ত আমার ভাই বা ও তার পরিবার সেভাবে বাচ্চাটিকে ভরণ-পোষণ
দেন না।
>
>* অনুগ্রহ করে উপর্যুক্ত ঘটনাটি পর্যালোচনা করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলে উপকৃত হবো। ধন্যবাদ।
>উত্তরসমূহঃ
>
>১. বাবা সবসময় আইনগত অভিভাবক। তাই জোর করে পাঠানোর ব্যপার নেই। মা শুধু বাচ্চার রক্ষণাবেক্ষণের (CUSTODY) দায়িত্ব নিতে পারেন।
>
>২. না।
>
>৩. যদি বাচ্চা মায়ের কাছে থাকে তবে বাচ্চার ভরণপোষণের জন্য মামলা করতে পারবে ।
>
>ধন্যবাদ
>
>রাওমান স্মীতা
>
>এডভোকেট
>
>মোবাঃ ০১৬৭৫৬২৩০৯৬
>
>ই-মেইলঃ lawthinkers@hotmail.com, smita_raoman@hotmail.com%
>admin%
>
>To stop reciveing email notifications for answers to your question please visit LAWTHINKERS?action=qanda_cancel_answer_email_notifications
April 24, 2013 at 4:58 pm
আপনার প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তরঃ
১। তালাক ২০১০ সালে কার্যকর হয়েছে এবং মামলা চলাকালীন সময় পিতা সন্তানকে অস্বীকার করেনি। অর্থাৎ তার সন্তান হিসেবেই স্বীকৃতি পেয়েছে তাই এ বিষয় নিয়ে নতুন করে মামলার সুযোগ নেই। তবে যদি মাতা মিথ্যাভাবে দাবী আদায়ের চেষ্টা করে অর্থাৎ সন্তানের পিতার পরিচয় ভিন্ন হয় বা জারজ হয় তবে মাতার বিরুদ্ধে fraud এর মামলা করা যেতে পারে। অথবা মা যদি ভরণ-পোষণের মামলা করে তখন আদালতের মাধ্যমে উক্ত বিষয় প্রমাণ করা যেতে পারে।
২। দেনমোহরের জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা করা যাবে।
৩। পারিবারিক আদালতে মামলা করা যাবে।
৪। সন্তান পিতা থেকে আলাদা থাকার সময় হতে ভরণ-পোষণের দাবীদার। পিতা ও মাতার আর্থিক ও সার্বিক বিবেচনায় পারিবারিক আদালত সন্তানের ভরণ-পোষণের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
উত্তরগুলো শুধুমাত্র আপনার প্রশ্নের ভিত্তিতে, তালাকের কাগজপত্র দেখলে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি বুঝে উত্তর দেয়া সম্ভব হত।
ধন্যবাদ।
রাওমান স্মীতা
এডভোকেট
মোবাঃ ০১৬৭৫৬২৩০৯৬
ই-মেইলঃ lawthinkers@hotmail.com, smita_raoman@hotmail.com