আমি একজন মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। ঢাকার কাছেই থাকি।
বাবা-মা এর মাঝে বনিবনা না হওয়ায় তারা একরকম আলাদা থাকে। বাবা গ্রামে থাকে,আর আমি মার সাথে ঢাকায় থাকি। মা একজন সারি-কাপড় এর ব্যাবসায়ি। এতেই আমাদের পরিবার চলে। এক বচ্ছর আগে আমাদের পরিবার এর খুব খারাপ সময় যাচ্ছিল। মা একজনের কাছ থেকে ৫০০০০ টাকা ধার নেয়। যার সুদ হিসেবে ওই ব্যাক্তি মাসিক ৬০০০ টাকা করে রাখত। কয়েকমাস এই টাকা দেয়ার পর মা এক মাস এই টাকা দিতে পারে নি। তখন ওই ব্যাক্তি সুদ এর ওপর আবার সুদ রেখে দেয়। এভাবে করতে করতে আজ ওই ৫০০০০ টাকা ১৬০০০০ টাকার ঋণ এ দারিয়েছে। মা আমাকে প্রথমে এ কথাগুলো জানায় নি, আমি এবারের HSC পরীক্ষার্থী। হয়তো এইজন্নেই।
যখন আমি জানতে পারি, তখন মার সাথে আমার খুব ঝগড়া হয়, পড়ে বুঝতে পারলাম, মা যাই করেছিল, আমার আর আমার ছোট বোনের জন্যই করেছিল।
মা কয়েকমাস সুদ এর কিস্তি গুলো চালাতে না পারলে লোকটা আমাদের বাসায় আসে। আমার মার সাথে যা তা দূর ব্যবহার করে। আমার সাম্নেই মা কে গালি গালাজ করে। প্রথমে তো ভেবেই নিয়েছিলাম, এই লোকটাকে মারার পর যদি আমার ফাসিও হয়, তবে হোক,
কিন্তু বাস্তব সবসময় চিন্তার মতো নয়। কয়েকদিন পড়ে এই সংসার এর দায়িত্ব আমার কাধেই আসবে।
তাই আমি আইন নিয়ে সার্চ করি।
প্রথমেই চুক্তি আইন এর কথা আসে।
এক্ষেত্রে লোকটা যখনই কাউকে ধার দিয়েছে, তখনই ১০০/১৫০ টাকার স্ট্যাম্প এ সাক্ষর নেয়। কিন্তু স্ট্যাম্প এ কোন লেখা থাকে না।
লোকটার সম্পর্কে যতটুকু জানি, তার বাবসাই হল এই সুদের টাকা খাওয়া। এই ধার দেয়া আর সুদ খেয়েই তার সবকিছু।
পড়ে আরও জানতে পারি, শুধু আমার মা নয়, আরও অনেক অনেক ছোটখাটো মহিলা ব্যাবসায়ি, সাধারন বাবসায়িদের তিনি এভাবে চক্রান্ত করেন। যদি এক সপ্তাহ/মাসের সুদ বাকি পড়ে, তবে তিনি শুধু এই সুদের ওপর আরও সুদ চাপান।
এরকম অনেক অনেক ঘটনার প্রমান আমি দেখাতে পারবো যে, যদি কোন বাবসায়ি সুদ দিতে না পারে, তবে তিনি সেই দোকান থেকে নিজের ইচ্ছা মতো জিনিস নিয়ে আসে। কেউ ওনার বিরোধিতা করে না , কারন উনি যাচ্ছেতাই ভাবে হুমকি দেয়, এর প্রমান আমি নিজেই।
কিছুদিন আগে জানতে পারি, এক বাবসায়ি কে তিনি বাসায় এনে যা তা বলে গালি গালাজ করে, তারপর আলমারি খুলে একটা বাক্স দেখান, সেখানে তিনি যাদের যাদের টাকা দিয়েছেন, তাদের প্রত্তেকের সাক্ষর করা BLANK স্ট্যাম্প ছিল।
.
আমার মা আজ পর্যন্ত প্রায় ৮০০০০ টাকা দিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু উনি এই চক্রবৃদ্ধি সুদের প্যাচে এই পাওনা কে আবারো বারিয়ে দেয়। আমার মার মতো এরকম ভুক্তভোগী মহিলা বাবসায়ি আমি আরও ১০-১২ জন কে প্রমান রাখতে পারবো।
তিনি যে নিজের ইচ্ছা মতো দোকান থেকে মালামাল নিয়ে যায়, তার প্রমানও দেখাতে পারবো। তার বাসা খুজলে সেই স্ট্যাম্প এর বাক্স তাও পাওয়া যাবে, তার দূরব্যাবহার এর প্রমান যেকোনো ভুক্তভোগী বাবসায়ি দিতে রাজি আছেন।
আরও অনেক অনেক ঘটনা রয়েছে, যা এভাবে লিখে বলে বোঝাতে পারবো না।
আমি এর প্রতিবাদ করতে চাই। কিন্তু কি ভাবে করবো জানি না।
দয়া করে আপনি এর আইনি কোন সমাধান দিন।
আপনার দেয়া আইনি সমাধান যদি কিছু মাত্র কাজ এ লাগে, তাহলেই ওই ভীত বাবসায়ি গুলো আমাদের পাশে এসে দারাবে।
দয়া করে আপনি সাহায্য করুন,,
June 11, 2013 at 7:33 pm
আপনি বিষয়গুলো জানিয়ে থানায় জিডি করতে পারেন। ৪২০/৪০৬ ধারায় চিটিং- এর মামলা করতে পারেন। এবং এই মামলার রেফারেন্সে ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা-৯৮ অনুযায়ী সার্চ ওয়ারেন্ট করিয়ে স্ট্যাম্প উদ্ধার করতে পারেন।
উত্তর দিয়েছেনঃ এডভোকেট আকরাম